ছবি : সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে ফের উত্তেজনার আগুন জ্বলছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে পুরো পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল অস্থির হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ইরানের তেল ও জ্বালানি স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পর হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তেহরান।
গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের ভেতরে পাল্টা হামলা শুরু করে। পরে এই উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে দুই দেশের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার মধ্য দিয়ে।
শনিবার ইসরায়েল ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েলের হাইফা শহরের কিছু জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।
রোববার (১৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক সিনা তুসি বলেন,
"ইসরায়েল যদি ইরানের তেল ও জ্বালানি অবকাঠামোতে আরও বড় ধরনের হামলা চালায়, তাহলে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে তেহরান। এটি হতে পারে ইরানের সর্বোচ্চ মাত্রার প্রতিক্রিয়া।"
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরআইএনএন জানিয়েছে, দেশটির সরকার হরমুজ প্রণালী বন্ধের বিষয়টি এখন সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এভাবে হামলা-প্রতিহামলা চলতে থাকলে পুরো পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে জ্বালানি সরবরাহ হুমকির মুখে পড়বে। এতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম নাটকীয়ভাবে বাড়তে পারে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি নতুন সংকটে পড়তে পারে।
হরমুজ প্রণালী পারস্য উপসাগরে প্রবেশের একমাত্র সমুদ্রপথ। এটি ইরান ও ওমানের মাঝখানে অবস্থিত একটি সংকীর্ণ জলপথ। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা (EIA)-এর মতে, বিশ্বের মোট তেল চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালী দিয়ে পরিবাহিত হয়। এই পথ বন্ধ হয়ে গেলে তেল পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে
৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।
সম্পাদক
মোজাম্মেল দিলন
প্রকাশক
সবার কথা মিডিয়া লিমিটেড
সবার কথা মিডিয়া লিঃ এর একটি প্রতিষ্ঠান।
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০২২২৪৪০৬০৭০
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
©২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com