নিউজ ডেস্ক :

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৫

| ইসরায়েলের দখলকৃত বিভিন্ন স্থাপনায় আবারও ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (১৪ জুন) রাতে এই হামলা চালায় ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (IRGC) মহাকাশ ইউনিট। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘ইয়া আলী ইবন আবি তালিব’, যা ঈদ আল ঘাদীর পবিত্রতার সঙ্গে যুক্ত বলে জানায় ইরান।

কোন কোন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান?

ইরানি গণমাধ্যম জানায়, এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক ও দূরপাল্লার তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র:

• ইমাদ (Emad)
• গাদর (Ghadr)
• খাইবার শেকান (Kheibar Shekan)

???? ইমাদ

‘ইমাদ’ হলো গাদর ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিক ও উন্নত সংস্করণ, যা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে।

• পাল্লা: প্রায় ১,৭০০ কিলোমিটার
• দৈর্ঘ্য: ১৫.৫ মিটার
• ওজন: ১,৭৫০ কেজি
• বৈশিষ্ট্য: লক্ষ্যবস্তুর দিকে গতি ও দিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, ফলে নির্ভুলতা অনেক বেশি।

???? গাদর

গাদর হচ্ছে শাহাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের ভিত্তিতে তৈরি মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ২০০৩ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ২০০৫ সালে উন্নত সংস্করণে রূপ নেয়।

• ধরন: গাদর-এস, গাদর-এইচ ও গাদর-এফ
• পাল্লা: ১,৩৫০ থেকে ২,০০০ কিলোমিটার
• সুবিধা: হালকা ওজন, উন্নত জ্বালানি ও নির্ভুলতা।

???? খাইবার শেকান

খাইবার শেকান ইরানের অন্যতম আধুনিক ও কার্যকর ক্ষেপণাস্ত্র।

• পাল্লা: ১,৪৫০ কিলোমিটার
• বৈশিষ্ট্য: উচ্চ নির্ভুলতা ও কঠিন জ্বালানির কারণে দ্রুত নিক্ষেপযোগ্য।
• প্রতিরক্ষা ফাঁকি: এটি অ্যারো-৩ ও ডেভিডস লিংক-এর মতো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম।

ইরানের দাবি ও হামলার প্রেক্ষাপট

আইআরজিসির দাবি অনুযায়ী, এটি ছিল দখলকৃত অঞ্চলে ইরানের এতদিনের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান। হামলায় ইসরায়েলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে।

ইরান জানায়, এই হামলা ছিল তেহরান ও অন্যান্য শহরে ইসরায়েলি হামলায় সেনা কমান্ডার ও সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার জবাব। শুক্রবার ও শনিবারের হামলায় ইরানে প্রাণহানির ঘটনায় দেশটির জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে, যার বহিঃপ্রকাশ এই পাল্টা হামলায় দেখা যায়।

• ইরান চালিয়েছে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নাম ‘ইয়া আলী ইবন আবি তালিব’
• ব্যবহার করা হয়েছে ইমাদ, গাদর ও খাইবার শেকান ক্ষেপণাস্ত্র
• লক্ষ্যবস্তুতে উচ্চ নির্ভুলতা ও প্রতিরক্ষা ফাঁকি দিতে সক্ষম প্রযুক্তি
• ইসরায়েলে সামরিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে
• ইরানে প্রাণহানির প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা দাবি করছে তেহরান