ছবি : সংগৃহীত।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা চার দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রয়েছে। উত্তর হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক পার্থক্যের কারণে এ উপজেলার শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ। এর তিন ঘণ্টা আগে, সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও আজ ঘন কুয়াশা নেই, তবে ভোরে হালকা কুয়াশা দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ উঠলেও তাতে তেমন উষ্ণতা পাওয়া যায়নি।
গতকাল তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহজুড়ে দিন-রাতের এমন বড় তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে শীতের প্রভাব আরও প্রকট হচ্ছে।
শীত বাড়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও কয়েকগুণ বেড়েছে। অনেকেই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ও রাস্তার মোড়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন থেকে এখানে অনেক শীত অনুভূতি হচ্ছে। দিন দিন যা বাড়ছেই। অনেক কষ্ট হচ্ছে আমাদের।
একই কথা বলেন তেঁতুলিয়া মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলন করতে আসা পাথর শ্রমিক রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যেও আমরা কাজে এসেছি। এই শীতের মধ্যে পানিতে নেমে কাজ করছি আমরা, এতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। সরকারিভাবে যদি কোনো সুযোগ সুবিধা পেতাম তাহলে অনেক উপকার হতো।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত চার দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি ঘরে অবস্থান করছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এমন অবস্থা তৈরি হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ আরও জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ ইয়াছিন মিয়া
নিউজ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com
©️২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com