ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
কাজী মাহমুদুল হাসান, নাটোর :
প্রকাশিত : ০৫:১৫ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Digital Solutions Ltd

মানবিকতার প্রতিদান মৃত্যু—গৃহকর্মীর হাতে নিহত লায়লা ও নাফিসা নাটোরে চিরনিদ্রায়

প্রকাশিত : ০৫:১৫ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

কাজী মাহমুদুল হাসান, নাটোর :

মানবিকতার খাতিরে আশ্রয় দেওয়া গৃহকর্মীর হাতেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। হৃদয়বিদারক এই হত্যাকাণ্ডের পর মা–মেয়ের মরদেহ জানাজা শেষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বাদ জোহর নাটোর শহরের গাড়িখানা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় মানুষের ঢল নামে। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।ভোরে বড়গাছা এলাকার নিজ বাড়িতে পৌঁছায় মরদেহবাহী ফ্রিজিং ভ্যান। লাশবাহী গাড়ি বাড়ির সামনে থামতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। কেউ কেউ দীর্ঘ সময় ধরে শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।নির্মম হত্যার শিকার লায়লা আফরোজ ছিলেন গৃহিণী। তার মেয়ে নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিবারের সকলে বলছেন, প্রাণবন্ত, হাসিখুশি এই মা–মেয়ে কখনো কারো সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেননি। কিন্তু সেই পরিবারের সঙ্গেই ঘটে গেল এমন এক বর্বরতা, যা এলাকায় নিন্দার ঝড় তোলে।

লায়লা আফরোজের ছোট ভাই ফরহাদ হোসেন জানান, নতুন গৃহকর্মী আয়শার প্রতি মানবিকতার জায়গা থেকেই তার বোন কাজ দিয়েছিলেন। আয়শা জানিয়েছিল, রংপুরে আগুনে তার বাবা–মা মারা গেছেন, আগুনে পুড়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। এ কারণে কেউ তাকে কাজে নিতে চাইছিল না। এই কথা শুনেই লায়লা তাকে ঘরে জায়গা দেন।

ফরহাদ বলেন, “রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আপার সঙ্গে শেষবার ভিডিও কলে কথা হয়। তিনি বলছিলেন, বাসার চাবি পাওয়া যাচ্ছে না। খুব উদ্বিগ্ন লাগছিল তাকে। ভাবিনি এটাই শেষ কথা হবে।”

গত সোমবার মোহাম্মদপুরের একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় মা–মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে গৃহকর্মী আয়শা। হত্যার পর বাথরুমে গোসল করে, নিহত নাফিসার স্কুলড্রেস পরে এবং তার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় সে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় এসে রক্তাক্ত মরদেহ দেখে ভেঙে পড়েন নাফিসার বাবা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

 

মানবিকতায় জায়গা দেওয়া এক গৃহকর্মীর হাতে প্রাণ হারানো মা–মেয়ের অকালে মৃত্যুতে নাটোরে নেমে এসেছে গভীর শোক ও ক্ষোভ। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি—এই নৃশংস হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

আইন-আদালত বিভাগের অন্যান্য খবর

 Somoyer Kotha
Follow Us

৪র্থ তলা, হাউজ# ২৭, রোড# ১ ব্লক# এ বনশ্রী , রামপুরা, ঢাকা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ ইয়াছিন মিয়া

নিউজ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +880 1975681488
Email: sobarkothabdnews@gmail.com

©️২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || sobarkotha.com